বাক্‌ ১১৪ | বঙ্কিমচন্দ্র | অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত



 [একাদশ পর্ব]  

‘‘শত্রু যখন আসবে, তখন হাত মুঠো। মুঠোর ভিতরে কী আছে জবা না গোলাপ, দেখব না।
যেই শত্রু চলে গেল — অমনি মুঠো আলগা। ছড়িয়ে পড়বে বিপ্লবীরা জনসাধারণের মধ্যে।’’   
‘লাল পিঁপড়ে কালো পিঁপড়ে’—উদয়ন ঘোষ  

লাল চা
(১)

শালুগাড়া জঙ্গলের ভেতর একটা মোটরবাইক যাচ্ছে। জানুয়ারির পাহাড়ি এবং জঙ্গুলে শীতে তেতে যাচ্ছে তিনজন। তাদের অন্তস্থ দাবদাহ এতোটাই মুখর যে বাইরের শীতকে কোনও পাত্তাই না দিয়ে বাইকটা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটছে। স্পিডোমিটারে কাঁটা আশি ছুঁইছুঁই। সরলবর্গীয় জঙ্গলের কাঠ চিরে ডেকে যাওয়া রাক্ষুসে ঝিঁঝিঁপোকার অনর্গল ডাকের ভেতর রাস্তা করতে করতে অন্ধকারই এখানে প্রকৃত আলোর উদ্গাতা। ওদেরকে সেই জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে যেখানে চুয়াত্তর সালের শেষ থেকে বিস্তীর্ণ এক পরিধি জুড়ে শায়িত আছে ঘুমন্ত অস্ত্রাগার। সেটা খুঁজে পেলেই হবে না, সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠি ছুঁইয়ে তাকে জাগাতে হবে। আমরা কি দেখতে পাচ্ছি ওই বাইকে কারা রয়েছে? না, এই অন্ধকারে চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করলে কিছুই দেখা যাবে না। আর, আমাদের তৃতীয় চোখ, অন্ধ। পাথর আর অসমান মাটির উঁচুতে-নীচুতে লাফিয়ে যাচ্ছে বাইকটাহেডলাইটের শাদা-হলুদ আলো দু ফাঁক করে কেটে দিয়েছে জঙ্গলকে। রাস্তা হারিয়ে ফেললে কিছুতেই হবে না। যদিও রাস্তা তাদের হারাতেই হবে। কেননা বাইকটা এবারে জঙ্গলের ভেতরের পায়ে চলা রাস্তাটাকে ছেড়ে জঙ্গলকেই রাস্তা হিসেবে নিচ্ছে। ঠিক সেই জায়গাটা ওদের খুঁজে বের করতে হবে এবং তা ভোর হওয়ার অনেক আগেই। রাস্তার কাছাকাছি ছিল না সে অস্ত্রাগার। কখনই না। ল্যান্ডমার্ক একটা করা ছিল ঠিকই, কিন্তু এত বছর বাদে সেটা না থাকারই কথা, আর থাকলেও এই প্রখর অন্ধকারে তা কি খুঁজে পাওয়া সম্ভব? সোজা টানটান এই সরলবর্গীয় জঙ্গলে একদম ডানদিক ঘেঁষে একঝাঁক রক্তজবার ঝাড় খুঁজে পেতে হবে, না এটা উপমা নয়, প্রকৃতই একঝাঁক রক্তজবার গাছ এখানে আছে। বাইক থেকে নেমে এবারে ওরা হাঁটছে। সামনে কিছুটা ফাঁক হয়ে পাশাপাশি দুজন। পেছনে একজন। ওদের তিনজনের অবস্থান ইংরেজি V আকৃতি তৈরি করেছে সামনের দুজনের পায়ের স্মৃতি স্পষ্ট বলছে রক্তজবার ঝাড় আশেপাশেই। অভীষ্ট লক্ষ্যের খুব কাছে চলে এলে কোনও একটা ইন্দ্রিয় খুব সূক্ষ্মভাবে তা টের পায়। হাতের টর্চ মাটি থেকে খুব দূরে ধরা যাবে না, ওতে আলোর রেডিয়াস বেড়ে যায়। পেছনের জনের হাতে বাইকের পেছন থেকে খুলে নেওয়া শাবল। এবং তিনজনের পিঠেই বড় ব্যাগ ও হাতে বস্তা। সামনের একজন ঠিক এইসময় বলে, ‘দাঁড়াও’। তিনজনেই থেমে যায়। ‘এইখানে’। টর্চ তুলে তিনজনেই দেখতে পায় তাদের সামনে একমাথা কালো অন্ধকার মেখে দাঁড়িয়ে আছে বেশ বড় আকারের একটা ঝোপ। এখান থেকে পুব দিকে হাঁটতে হবে, স্বাভাবিকভাবে মানুষ যেভাবে হাঁটে সেভাবে নয়যেভাবে প্যারেড করে সেইভাবে পা ফেলে, গুণে ৬৭ পা। এটাই পাসওয়ার্ড। নির্দিষ্ট জায়গাটায় পৌঁছে তিনজনের প্যারেড যখন শেষ হয়, তখন একটা হাওয়া বইল গাছের ডাল থেকে ডালে, কিছু রাতচরা পাখি ডানা ঝটপটিয়ে উড়ে গেল একদিকে, কিন্তু সেসব ওরা কেউই লক্ষ্য করেনি বা, করলেও গুরুত্ব দেয়নি। ওরা তিনজন এখন দাঁড়িয়ে আছে এক সশস্ত্র কৃষক অভ্যুত্থানের পরিত্যক্ত ক্ষমতার উৎসের সামনে। কোথায় অস্ত্রাগার?

       Fix places for hiding the crops. In our past days we did not make any permanent arrangement for hiding the crops. So most of the crops were either destroyed or fell in the hands of the enemy. So permanent arrangements should be made to keep the crops hidden. Where can they be hidden? In every country of the world, wherever the peasant fights, crops have to be hidden. For the peasant, the only place to hide the crops can be under the earth itself. In every area, every peasant will have to make a place to hide the crops under the earth. Otherwise by no means the crops can be saved from the enemy.
—Fifth Document, Charu Mazumder
         
ঘোর অন্ধকার জঙ্গলে খুন হওয়া ইতিহাসের কালি মেখে তিনজন ভূত মাটি খুঁড়ছে। চটের বস্তা জড়ানো রাইফেল। প্রায় আধঘন্টা মাটি খুঁড়ে লাশের মতো যখন তারা তাদের পায়ের সামনে বিছিয়ে রেখেছে সাতটা রাইফেল, ভোরের আলো ফুটতে এ অঞ্চলে তখনও ঘন্টা দুয়েক বাকি। সাতজন রাইফেল এবং ঘর্মাক্ত তিনজন, মোট দশজন মৃদু গলায় বলল, নকশালবাড়ি জিন্দাবাদ। অমর শহীদ কমরেড চারু মজুমদার জিন্দাবাদ।

অস্ত্র সংগ্রহ করে বাইক যখন শালুগাড়া থেকে বেরিয়ে শুকনার জঙ্গলের রাস্তা নিয়েছে ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। তার প্রথম আলোয় আমরা বাইক আরোহী তিনজনকে চিনে নিতে পারি। সামনে বসে আছে এতোয়া ওঁরাওমাঝখানে বিজয় তাঁতি। পেছনে, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। শুকনার ভেতর দিয়ে দীর্ঘ এবং অত্যন্ত কম ব্যবহার হওয়া একটা রাস্তা চলে গেছে নকশালবাড়ি। যেখানে গতকাল রাতে পৌঁছে গেছে ঋত্বিককুমার ঘটক আর নবারুণ। এনজেপি নেমে জংশন থেকে বাস ধরে ওরা গেছেসকালে লোক চলাচল বেড়ে যাওয়ার আগেই উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিয়ে পৌঁছে যাবে এতোয়া, বিজয় আর প্রীতিলতা।

সেদিন অত্যন্ত ভোরে ওরা তিনজন, না দশজন, সাথে সাতজন রাইফেলও আছে, যখন নকশালবাড়িতে কৃষ্ণমায়ার ঘরের সামনে পৌঁছল, দেখল, নকশালবাড়ির ঘুম তখনও ভাঙেনি; এবং ঘুমন্ত গ্রামে একা ঋত্বিক কৃষ্ণমায়ার ঘরের দাওয়ায় জেগে বসে হাঁড়িয়া খাচ্ছেবোধহয় রাত থেকেই খাচ্ছে। তার সামনে ছড়িয়ে আছে অনেকগুলো বটপাতা। তাতে ঝাল চাটনির অবশিষ্টাংশ। প্রীতিলতাকে দেখেই ঋত্বিক বলল, ‘তুমি কে মা? তুমি কি আমার বাঙলাদেশের আত্মা?’ কাঁধের রাইফেল নামিয়ে ওর পায়ের কাছে বসে প্রীতিলতা বলল, ‘হ, আমি বাঙলাদ্যাশ’ভেতর থেকে নবারুণ বেরিয়ে আসছে হাসতে হাসতে। ভোরের ঘুম ভাঙা তার চোখ। ওদেরকে ওভাবে কথা বলতে দেখে বলে, ‘এ কি যুক্তি তক্কোর রি-শ্যুট হচ্ছে, নাকি কর্ণ-কুন্তী সংবাদ?’   

(২)

দুপুরে নটে শাকের ঝোল দিয়ে ভাত সাপটে নবারুণ যখন একটা মোড়া নিয়ে বারান্দাটায় এসে বসলেন, ঋত্বিক যেন এতক্ষণ এরই অপেক্ষায় ছিলেন। অনেক ডাকাডাকি করেও ভাতের থালার সামনে তাঁকে নেওয়া যায়নি। প্রীতিলতা বেরিয়ে গেছে সেই সকালে। কথা ছিল তিনজনে একসাথে খাবে দুপুরে, সে আর হল না। নবারুণ ওঁর নতুন উপন্যাস নিয়ে কথা বলছিলেন ঋত্বিকের সাথে। কথা এগোতে এগোতে উপন্যাস ছাড়িয়ে লেখকের রাজনীতি বোধ, তার প্রস্তুতি, নানান দিকে চলে যায়। বলেন, ‘লেখক তো মিউজিয়মের মূর্তির মতো শুধু শস্ত্র-আয়ুধে সজ্জিত থাকবেন না, তাঁর রণকৌশল এবং কাউন্টার পলিটিক্সও স্পষ্ট থাকবেপুষ্ট রাজনৈতিক চেতনা ছাড়া একজন লেখক সাবালকত্ব পেতে পারেন না। পলিটিক্যালি আনকালচার্ড মানুষ রাজনৈতিক চেতনা বলতে স্লোগান-পোস্টার-পার্টিবাজি বোঝেন। ব্যাপারটা অনেকটা ওমলেটের পেঁয়াজ দিয়ে মুর্গিকে বোঝার মতো হাস্যকর। একজন লেখক তো শুধুমাত্র সেই সব অর্থবহতার প্রতিই তাঁর অন্তিম বিশ্বাস রাখতে পারেন, যা তাঁর লিখিত শব্দ। তাঁর শব্দ ও বাক্যগুলি যা নির্মাণ করেছে একটি গদ্য, তা যদি ফিলোজফিক্যালি এবং পলিটিক্যালি speed density প্রাপ্ত না হয়, তবে শব্দগুলির চেতনাবিহীন অর্থ নিয়েই পড়ে থাকতে হয় তাঁকে। লেখকের সাথে পাঠকের ব্যক্তিক ও সময়ের দূরত্ব বেড়ে গেলে তখন পাঠকও সেই শব্দগুলো থেকে আর কোনও আলো বা অন্ধকার বিচ্ছুরিত হতে দেখেন না; তখন শুধু ধ্বনিচেতনার শ্রাব্যতা নিয়ে এক অন্ধের পথ চলা। আমি কখনওই মূর্খের মতো ফিলোজফিক্যাল বা পলিটিক্যাল শব্দের কথা বলছি না, বলছি, শব্দের political এবং philosophical sense-এর কথা। প্রাণিদেহে যেমন অনেকগুলো sense organ থাকে, এবং তারা মিলিতভাবে বহুমুখে যৌথ-ক্রিয়াশীল; প্রতিটি শব্দেরও একইভাবে বহুচেতনা রয়েছে, তাকে philosophically political aspect-এ ধরা প্রয়োজন। শব্দের তো অনেক দূরস্পর্শী প্রভাব রয়েছে, দর্শন ও রাজনৈতিক চৈতন্য না থাকলে তাকে একালে ছোঁয়া যায় না। 

‘যেখানে রাজনৈতিক কর্মীদেরই রাজনৈতিক চেতনা পুষ্ট হয়নি’, ঋত্বিক বলেন, ‘সেখানে একজন লেখকের কাছ থেকে এ জিনিস তুমি কী করে আশা করছ জানি না। এই যে প্রীতি এখানে এসেছে, ও কি এখানে শিক্ষক হিসেবে এসেছে? নাকি ত্রাতা হিসেবে? বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জনগণের ভূমিকা কী তা তো মানুষকে এদের পার্টি জানতেই দেয় না। ফলে,  রাষ্ট্রের সাথে মোকাবিলার জন্য রাজনৈতিকভাবে অপ্রস্তুত জনগণ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখে আরও নিষ্ক্রিয়। স্কোয়াডকে খাবার যোগানো ছাড়া তাদের আর কিছু কাজ নেই।’ কথার মাঝখানেই প্রীতিলতা এসে পড়ে। তার সঙ্গে আরও কিছু লোকজন। উঠোন জুড়ে তারা ছড়িয়ে বসে। আশপাশের চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক। কলতলায় হাতমুখ ধুতে ধুতে প্রীতিলতা ঋত্বিককে বলে, ‘আমরা কিন্তু আপনার কথা শুনব বলেই সবাই এসেছি এখানে। আপনি তো কিছুই খাননি শুনলাম। খেয়ে নিই চলুন। তারপরে এখানেই বসব।’

সারারাত ও দিনের নেশার আড় ভেঙে সেদিন বিকেলে ঋত্বিক যা বললেন

বিপ্লবী সংগঠনের সশস্ত্র কার্যকলাপ মানেই তা শ্রেণীসংগ্রাম নয়। শুধুমাত্র সশস্ত্র রূপ দিয়েই কি শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী রাজনীতির সংগ্রামকে চিহ্নিত করা যায়? আমার প্রশ্ন আছে। সশস্ত্র অভ্যুত্থান তো এক নির্দিষ্ট মুহূর্তের রাজনৈতিক সংগ্রামের একটা পদ্ধতি। ট্রেড ইউনিয়ন হচ্ছে সামগ্রিক শ্রমিক আন্দোলনের এক ধ্রুব রূপ। পুঁজিবাদী কাঠামোয় সব পরিস্থিতিতেই যার প্রয়োজন। সশস্ত্র সংগ্রাম বললেই একটা রাজনৈতিক সংগ্রামের চরিত্র সম্পর্কে সবকিছু বলা হয়ে যায় না। বুর্জোয়া সংস্কার যে পুঁজিবাদী বিকাশ ঘটাচ্ছে, তাকে কেন্দ্র করে সমাজে যে নতুন নতুন স্বার্থের উদয় হচ্ছে, এবং এই পথে টিকে থাকা ও পুষ্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিচ্ছে, যা আবার গণতান্ত্রিক শক্তিকে দুর্বল করছে — এসব বিপদ সম্পর্কে কিন্তু কোনও সচেতনতা আমি দেখছি না। তেলেঙ্গানায় আঞ্চলিক স্তরে বড় জমিদারদের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে তা আরোপ করতে গিয়ে কি বিভ্রাট হয়েছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটাকেই তোমাদের পার্টি আমল দেয়নি। সিপিএমের নেতৃত্বে সংস্কারবাদী রাজনীতির একটা গভীর প্রভাব এখানকার মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে, যার ফলে সংগ্রামের বিপরীতে শাসকশ্রেণীর দয়া দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরতা, ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে চলা, শ্রেণী ঐক্যের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বাঁচার চেষ্টা — এগুলো ক্যান্সারের মতো বিভৎস হয়ে আছে এখানে। সশস্ত্র কার্যকলাপের ক্ষেত্রে এদেশের বিপ্লবী পার্টিগুলো কিছু অগ্রগতি ঘটিয়েছে, এ কথা যদি মেনেও নিই, তবু তা ঘটছে শ্রেণীসংগ্রামের অগ্রগতি ছাড়াই। ...যাই হোক, সকাল থেকে অনেক বকবক করেছি আমি... আমার তো কোনও পার্টি নেই, তাই আমাকে কারোর কাছে এই বকার জন্য কৈফিয়ৎ দিতে হবে না। কিন্তু আমার বকবক শোনার জন্য তোমাদেরকে তা দিতে হতে পারে। তবে আমার ইচ্ছে আছে আমি এখানে আবার আসব। একটা নাটকের প্ল্যান আছে আমার, তোমরাই করবে, এইখানে। অবশ্য তোমাদের পার্টি যদি তাতে আপত্তি না করে...      

(চলবে)


1 টি মন্তব্য:

  1. অভিনব। স্বচ্ছ রাজনৈতিক দৃষ্টি। ও ইতিহাস বোধ। জীবন্ত চরিত্র নির্মাণ। বিরাট ক্যানভাস নির্বাচনের সাহস প্রশংসনীয়। ন্যারেটিভ শৈলীতে সচেতনভাবে দ্বান্দ্বিকতার প্রয়োগে authorial voice- এর সরলতা, একমাত্রিক দৃষ্টিকোণ, আরোপন ও অগভীরতা কে সফলভাবে অতিক্রম করেছেন। সব শেষে বাংলা উপন্যাসে বর্তমানে রাজনৈতিক সমাজ বিশ্লেষণ প্রায় অনুপস্থিত। আপনার লেখায় তা লক্ষ্যণীয় ভাবে উপস্থিত। আপনার আরো অগ্রগতি কামনা করি। শুভেচ্ছা রইল।

    উত্তরমুছুন