শূন্য ব্যক্তিত্বের দিকে
এখানে মুছে যায় দিন—
সূর্যাস্তে দাঁড়ানো আধো-নিমগাছ
সুবিলের মাছগুলো বহুদিন চলে
গেছে অন্য ভূমণ্ডলে—
জীবন কি আরেকটু চোখ পেতে
পারে!
যেন ছেঁড়া স্যান্ডেল
আবার ধুয়েমুছে রেখে দিতে
পারি আলনায়!
রোদে মাথা রেখে দুয়েকটি হরিণ
ঘুমিয়ে গেলে
সেসব অভ্রের বনে পড়ে থাকি
মথের সমান
প্রতিদিন দোলনচাঁপায় একটি
পাখি বসে
আমাকে বলতে চায়—
দূরত্ব বেড়ে গেলে কীভাবে
সফেদা বনে পেকে উঠবে ফল
মাটির অপত্য স্নেহে বহুদিন
রৌদ্রশেকড় সূর্যের রঙ থেকে
নিয়ে আসে পালক—
তোমাকে সীমানা ভাবি, অথচ ঐ পারে
ভেসে আছে কাঠের দুপুর!
মিডলক্লাস
ছাতা তুমি হারিয়ে ফেলো, শুধু
বৃষ্টি নামে বাইরে অকস্মাৎ—
হিপোক্রিসিভরা এ মৌসুমে
পশুর লোমে গড়িয়ে পড়ে রাত—
যাচ্ছে ভেসে রুবাইয়্যাতের শের
মিডলক্লাসের অহেতু সব ছবি
এইখানে মেঘ নামছে মূহুর্মূহু
তোমার প্রিয় হারানো মসনভি—
এখন তুমি সহজ পাতা, ভেজো
এখন তুমি প্রসঙ্গত লীন
লোকাল বাসের জানলাভাঙা সিটে
ঝাপটা আসে প্রতিধ্বনিহীন—
চলে যাওয়া
অর্ধেক আত্মহত্যার পাশে বেড়ে উঠি প্রতিদিন—সমস্ত শেকড় তার চলে গেছে মাঠহীন: নিস্তব্ধ ছায়ার দিকে—
ভাঙা দেয়ালের
সাথে জামগাছটার বেড়ে ওঠা দেখে মনে হয়— যে ফুলের ঐশ্বর্য
নেই সে কি শুধুই হাওয়া দেয় অহেতুক! অথবা তাদের ঝরে পড়ার ধরণ সামান্য এলোমেলো!
সহজ সমুদ্র
বলে আদতে কিছুই নেই—চারদিকে গিল্টিকরা ঢেউ— যেন সহস্র-গভীর এক শরৎ বয়ে যায় ছাঁচের ভেতর—তারাদের আলোগুলো
বন্দী কোনো মথের চিৎকার
পরা পাঠকের
কথা ভাবি—যখন বাবলাফুলের নিচে জড়ো হয় দুপুরের রোদ
(চিত্রঋণ : John William Waterhouse)
তিনটি লেখাই সুন্দর।এর আগেও একবার পড়েছি
উত্তরমুছুনচলে যাওয়া, দুর্ধর্ষ
উত্তরমুছুনচলে যাওয়া, দুর্ধর্ষ
উত্তরমুছুনদারুন
উত্তরমুছুনআহা
উত্তরমুছুনমুগ্ধতা
উত্তরমুছুন