ছবি : রেনেসাঁ
১
কবিতাটার শুরুতেই - "বিধবা বিড়াল"।
বিধবা বলতেই আমার একটা বৃদ্ধার কথা মনে হয়,
শক্তসামর্থ এখনও, মুখটা অন্ধকারে কালো
হয়ে ঢেকে গেছে, শরীর জুড়ে একটা অতিরিক্ত সাদা শাড়ি জরিয়ে
আছে। যেকোন জিনিস খুব সাদা হলে মানে অতিরিক্ত সাদা হলে সুমেরুর বরফের মত হয়ে যায়।
শৈত্যপ্রবণ। হয়ত স্বামী মারা গেছেন অনেকদিন, প্রেম খুব
শোষিত... তার জায়গা অনুশাসন পুরোটা দখল করে নিয়েছে। ধরুন খাবার সামনে। কিন্তু আপনি জল পান করে করে
খিদে তাড়াচ্ছেন বা বমি করে করে বিতৃষ্ণা আসছে। এখন সেই বমিটা বিড়ালের। মানে,
বিড়লটা বিধবা হলে কি পরিমাণ সাদা হবে, কি
অসম্ভব শৈত্য, কুচক্রী হবে। একটা খুব সাদা বিড়াল ছিল মিনি
নামের। আমি ওকে চিঠি লিখতাম, ও কোনদিন পড়বে। অদ্ভুত সব
ঘটনা করতাম। একদিন আমিই নিয়ে ওই বিকালের ভ্রমণে বেড়িয়েছিলাম। ট্রাকে চাপা পড়েছিল।
সত্যিই ছিল।
কবিতায় হয়ত এমন একটা বেড়াল-ই। তার মেলা বাচ্চাকাচ্চা।
আমার মিনি বেঁচে থাকলে তার এতদিনে ১৮ টা ছেলে ৮ টা মেয়ে হত, তাদের আবার ছেলেমেয়ে। আমি দেখতে পাচ্ছি একটা প্রাচীর তার পাশ থেকে
সূর্য ডুবে যাচ্ছে, লালচে আকাশে চাঁদ লাফ দিল, চাঁদ দেখতে একটা সাদা বিড়াল।
২
একটা জানলার পর্দা। একটা কবরস্থান। কবরের গায়ে একটা
বন্ধ জানলা। শক্তি দিয়ে বন্ধ
রেখে দিচ্ছে গ্যালিভার্স ট্রাভেল এর মত একদল ট্যাবলেট মানুষ। আর একটা মানুষ কবরে
বন্দি। তার হাহাকারে আমার কিচ্ছু
মনে হচ্ছে না। শরীরে হচ্ছে, শিরশিরানি তবু। কেন বা! একটা
চিঠি হলুদ হয়ে আসছে। চিঠিটা পর্দা হয়ে যাচ্ছে, পর্দাটা
চিঠি। টুনি বালবের মত জ্বলছে নিভছে মাথার বাইরে, চোখের
ভেতরে
|
সাদাবিড়াল আর পর্দার মাঝে বিধবার রোমান্স...
উত্তরমুছুন